দিনাজপুরে শ্মশানের মন্দির ও সমাধি ভাংচুর: মানববন্ধন এলাকাবাসী
দিনাজপুরে শ্মশানের মন্দির ও সমাধি ভাংচুর: মানববন্ধন এলাকাবাসী >>
দিনাজপুরের কাহারোল উপেজলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো. রমিজ আলম আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্মশানের সমাধি ও কালিমন্দির ভাংচুর করায় ভূমি কমিশনারকে চাকুরীচ্যুক্ত করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে বহস্পতিবার ১৯শে ডিসেম্বর বিকেল তিনটার দিকে ২য় বার মানববন্ধন বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নবাসির সঙ্গে বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোট, পূজা উদযাপন পরিষদ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সহ অন্যান্য অঙ্গ সংগঠন।
উল্লেখ্য, উপজেলার সাহাপাড়া মৌজার জেএল নং ১০৬, খতিয়ান নং এসএ-২, দাগ নং ১৯১, রকম ডাঙ্গা, পরিমান ৬.৮৮ একর জমির উপর বৃটিশ আমল থেকে দক্ষিণ রামচন্দ্রপুর শ্মশান ও কালিমন্দিরে পূজা অর্চনা করে মৃত ব্যক্তিদের সৎকার ও শবদাহ করে আসছেন। কিন্তু কতিপয় ব্যাক্তি প্রশাসনের যোগসাজশে শ্মশান ও কালিমন্দিরের জায়গা নিজ নামে লিজ বা পত্তন নেওয়ার জন্য নানাভাবে পায়তারা চালিয়ে যান। ইতোমধ্যেই একটি মহল লাঠিসোঠাসহ দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে দখল নিতে গেলে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন বাঁধা দেয়। যার প্রেক্ষিতে আদালতে একটি মামলা দায়ের করে রামচন্দ্রপুর শ্মশান ও কালিমন্দির কমিটির সদস্য পরিমল চন্দ্র রায়। যা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন আছে।
আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে দক্ষিণ রামচন্দ্রপুর শ্মশান ও কালিমন্দির কমিটির পক্ষে কমিটির সদস্য পরিমল চন্দ্র রায় বাদী হয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক দিনাজপুর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাহারোল ও সহকারি ভূমি কমিশনার কাহারোল এর বিরুদ্ধে দেঃকাঃবিঃ আইনের ৩৯ অর্ডার নং ১ রুলে এভিডেভিট করে মামরা চলাকালীন অবস্থায় বর্ণিত সম্পত্তির কোন প্রকার লিজ বা পত্তন দিতে না পারেন সেজন্য অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার জন্য দিনাজপুর কাহারোল সহকারি জজ আদালতে প্রার্থনা করা হয়। যার মোকদ্দমা নং ১০০/২০১৯। এই মামলায় গত ১২/১২/১৯ ইং তারিখে ১-৪ নং বিবাদীকে ১০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেন। কিন্তু বিবাদীগণ আদালতে হাজির হননি। পরে আদালত আগামী ২০/০১/২০২০ ইং তারিখ পর্যন্ত নালিশি সম্পত্তির উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
তারপরেও আদালতের আদেশ অমান্য করে গত ৮ ডিসেম্বর দুপুর আড়াইটার দিকে দক্ষিণ রামচন্দ্রপুর শ্মশান ও কালিমন্দিরের জায়গায় প্রবেশ করে কাহারোল উপজেলা সহকারি ভূমি কমিশনার রমিজ আলম প্রশাসনের লোক হয়েও আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হিন্দু সম্প্রদায়ের সমাধি ভাংচুরসহ ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন। এ অবস্থায় অত্র এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা।