হিন্দুরা কেন গো-মাংস ভক্ষণ ও গো-হত্যা করে না ?

হরে কৃষ্ণ, নমস্কার, কেমন আছেন আপনি ? আশাকরি পরম দয়ালু ভগবানের কৃপায় ভালো আছে। প্রশ্ন এমন একটি জিনিস সেটি যদি নিজের ভেতরে রাখেন তাহলে কোনো দিনই এর উত্তর পাবেন না। আর হ্যাঁ এমন কোনো প্রশ্ন নেই যার বেদসহ সনাতন ধর্মীয় ধর্মশাস্ত্রে নেই। তো জেনে নেয়া যাক আজকের প্রশ্নের উত্তর।

উত্তরঃ গরু বা গোরু সনাতন ধর্মের সকল মানুষের কাছে একটি পবিত্র ও নিষ্পাপ প্রাণী। গুরু ছাড়াও সনাতন ধর্মে সকল প্রাণীই পবিত্র। এর কারণ সকল জীবই ভগবানের সৃষ্টি। আর ভগবান দুষ্টের বিনাশ ও সাধুর রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রূপ ধারণ করে। যেমন শ্রী কৃষ্ণ রূপ ধারণ করে ভগবান ধর্মের রক্ষা করেছেন। গরু বা গোরু ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ছেলেবেলার খেলার সাথী ছিলেন। ছোট বেলা থেকেই ভগবান কৃষ্ণের প্রিয় পশু ছিলো গরু। গুরু ছাড়াও তিনি বনের নানা-পশু পাখির সাথে ছেলেবেলা পার করেছেন। তাছাড়া ভগবান শ্রী কৃষ্ণের প্রিয় খাবার ছিলো গরুর দুধের তৈরি ননী বা মাখন। তাই আমাদের গোহত্যা করা নিষেধ । এছাড়া বেদেও গো-হত্যা নিষেধ ।

উত্তর ২ঃ কোনো শিশু জন্মগ্রহণ করার পর মায়ের বুকের দুধই তার একমাত্র খাবার। আর মায়ের বুকের দুধ সকল শিশুর জন্যই আদর্শ খাবার। কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় কিছু কিছু মায়ের বুকে দুধ আসেনা বা খুবই অল্প থাকে যা শিশুর জন্য পর্যাপ্ত না। আবার কিছু কিছু মা সন্তান জন্ম দেবার সময় পরলোক গমন (মৃত্যুবরণ) করেন। তখন কোনো শিশুকে মায়ের বুকের দুধের বিকল্প হিসেবে গরুর দুধ পান করানো হয়। তাই গরুর দুধ অনেক শিশুর জীবন বাঁচায়। এমনকি গরুর দুধ মায়ের দুধের চাহিদা পূরণ করে তাই সনাতন ধর্মে গোহত্যা নিষেধ। আশা করি এই উত্তর পাবার আপনি যে ধর্মের হোননা কেনো বিভেক দিয়ে যাচাই করবেন।

প্রশ্নঃ শুধু গরু না অনেক প্রানীই দুধ দিয়ে থাকে। উত্তরঃ হ্যাঁ , দুধ দেয় এরকম পশুর সংখ্যা আমাদের পৃথিবীতে অনেক রয়েছে। কিন্তু সকল দুধের পুষ্টি গুণ সমান না। মায়ের বুকের দুধের পুষ্টিগুণের পরেই রয়েছে গুরুর দুধের পুষ্টিগুণ।

Tags: হিন্দুরা কেন গো-মাংস ভক্ষণ ও গো-হত্যা করে না ?, হিন্দুধর্মে গো হত্যা নিষিদ্ধ , আদি ধর্মগ্রন্থ বেদে গোহত্যা ও ভক্ষণের ব্যাপারে কি বলে, হিন্দুরা কেন গরুর মাংস খায় না