৫০০ টাকা চাঁদা দেননি বলে, কল্পনা রানীর হাত ভাঙ্গলো খায়েস মিয়া
ছবির অসহায় এই নারীর নাম কল্পনা রানী দাস, বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আমিরপড়ার গ্রামে। এলাকার শ্মশানের ভিতরে একটি কক্ষে স্বামীসহ চার সন্তান নিয়ে তিনি বসবাস করেন। করোনা মহামারীতে আপনি গরীব এবং অসহায়দের জন্য তাদের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দুই হাজার পাঁচশত টাকা করে কিছুদিন আগে নগদ সহায়তা করেছিলেন।
সেই উপহারের তালিকায় নাম তুলতে গিয়ে নিজ ওয়ার্ডের মেম্বারের কাছে প্রত্যাখাত হন কল্পনা রানী দাস। পাশের ওয়ার্ডের মেম্বার খোরশেদ আলমের কাছে গেলে তিনি কল্পনা রানী দাসের নাম তালিকাভুক্ত করতে রাজি হন, তবে শর্ত ছিল, মেম্বার খোরশেদ আলমকে ২৫০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা বখরা হিসেবে দিতে হবে। অসহায় কল্পনা রানী আড়াই হাজার টাকা পেলে ৫০০ টাকা বখরা দিতে রাজিও হয়ে যান। তাকে আশ্বস্ত করা হয় যে, তালিকায় নাম ওঠানো হয়েছে।
কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার উপহারের টাকা কল্পনা রানী দাসের মোবাইলে যায়নি। কোথায় গেছে তাও তিনি জানেন না। কল্পনার মোবাইলে টাকা না গেলেও মেম্বার খোরশেদ আলম তাকে ডেকে নেন প্রতিশ্রুত ৫০০ টাকা বখরা আদায়ের জন্য। কল্পনা সবিনয়ে জানান যে, তিনি প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাননি। এই ঘটনায় কথাবার্তার একপর্যায়ে মেম্বারের ছেলে খায়েশ মিয়া লাঠির আঘাতে কল্পনার ডান হাত ভেঙে দেয়।
সারাদেশের চিহ্নিত কিছু দূর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান, মেম্বার, জনপ্রতিনিধিদের জন্য এরকম হাজার হাজার কল্পনা রানী দাস আপনার উপহারের আড়াই হাজার টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে, এক মোবাইল নাম্বারে ১০০/২০০ জনের নামও উঠার সংবাদ আমরা বিভিন্ন নিউজ মিডিয়ায় পেয়েছি। উপহার থেকে নাহয় তারা বঞ্চিত হলো, তাই বলে এরকম অমানবিক নির্যাতন???