২ হিন্দু নাবালিকাকে অপহরণ করে ইসলাম ধর্মগ্রহণে বাধ্য করার অভিযোগ

পাকিস্তানে দুই হিন্দু নাবালিকাকে অপহরণের পরে বিয়ে এবং জোর করে ইসলাম ধর্মান্তরিত করে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটল পাকিস্তানে সিন্ধের ঘোটকি এলাকায়৷ ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়৷ দোষীদের কড়া শাস্তি দেওয়ারও দাবিতে শুরু হয় বিক্ষোভ প্রদর্শন৷

টাইমস অব ইন্ডিয়া সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গিয়েছে, পাকিস্তান হিন্দু সেবা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট সঞ্জেস ধাঁজা করাচি থেকে ফোনে এই সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, রবিনা (১৩), রীনা (১৫) দুই বোনকে অপহরণ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করা হয়৷ পাকিস্তান হিন্দু সেবা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট প্রধানের অভিযোগ এই ঘটনায় পুলিশ শুধুমাত্র একটি এফআইআর নিয়েছে৷

এর আগে, পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সম্প্রতি ট্যুইট করেছিলেন, ‘নয়া পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের নাগরিকদের মতোই বিবেচিত হবে…৷’ এই ট্যুইটকে ঘিরে বিতর্কও শুরু হয়৷

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই, পুলওয়ামা হামলা প্রসঙ্গে পাকিস্তানে এক নেতা মন্তব্য করেন, ‘হিন্দুরা আমাদের শত্রু।’ পিপিপি নেতা শের আজম ওয়াজিরের এই মন্তব্যের পরই ওয়াক আউট করে অ্যাসেম্বলি থেকে বেরিয়ে যায় সেখানকার বিরোধী দলের নেতারা। তাঁর মন্তব্যের সমালোচনাও হয় সেসময়৷

ওয়াজির এদিন অ্যাসেম্বলিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘হিন্দুরা আমাদের শত্রু।’ যদিও পরে নিজের বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন ওয়াজির। তিনি বলেন, ‘হিন্দু’ নয় আসলে ‘হিন্দুস্তান’ বলতে চেয়েছিলেন তিনি। পরে অ্যাসেম্বলিতে দুই দলের সদস্যদেরই ফিরিয়ে আনা হয়। খাইবার পাখতুনখাওয়ার ওই অ্যাসেম্বলিতে তিন হিন্দু সদস্য রয়েছে।

পুলওয়ামা কাণ্ডের পর এমনিতেই ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক তলানিতে চলে যায়৷ এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে দুই হিন্দু নাবালিকাকে ধর্মান্তরিত করার ঘটনায় উত্তাপের পারদ ফের চড়ছে বলেই অনেকের মত৷

Credit: kolkata24x7