হিন্দু স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করে তার বৌদিকে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা
রাজধানী ঢাকার দোহার উপজেলার পূর্ব লটাখোলা এলাকায় তপন কর্মকার নামে ৪৫ বছর বয়সী এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত তপন কর্মকার উপজেলার পূর্ব লটাখোলা গ্রামের মৃত গোপাল কর্মকারের ছেলে। এসময় দুর্বৃত্তরা ওই ব্যবসায়ীর বড় ভাইয়ের স্ত্রীকেও তুলে নিয়ে যায়। বুধবার সকালে বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে হাত, পা বাঁধা অবস্থায় ওই গৃহবধূ মনি কর্মকারকে উদ্ধার করে এলাকাবাসী।
ঘটনার বিস্তারিত বিবরণে গৃহবধূ মনি কর্মকার জানান, “গত মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে আমি আমার স্বামীকে খাবার খেতে দিয়ে টয়লেটে গিয়েছিলাম। আমাদের প্রায় প্রতিদিনই এতো রাতে খাওয়া হয়। একটু পরই আমার স্বামীর হৈ চৈয়ের শব্দ পাই। পরে আমি দৌড়ে টয়লেট থেকে বের হই। দরজা খুলে দেখি বাহিরে দাঁড়ানো ৭-৮ জন মুখোশ ও রেইনকোট পড়া লোক আমার দেবর তপন কর্মকারকে এলোপাথারী কোপাচ্ছে। কোপে আমার দেবরের পেটের বিভিন্ন অংশ বের হয়ে গেছে।
আমি বের হওয়ার সাথে সাথে বোরকা পরিহিত দুজন লোক আমার মুখ চেপে ধরে।
যাতে আমি চিৎকার করতে না পারি। সেই সাথে আমার মনে হলো আমার শরীরে কি যেনো পুশ করা হলো। সাথে সাথে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। এরপর আমার সাথে কি হয়েছে আমি জানি না। পরে আমি জ্ঞান ফিরে দেখলাম আমি হাসপাতালে। শুনলাম এলাকার লোকজন নাকি ভোরে আমাকে একটি পুকুরের পাড় থেকে তুলে জয়পাড়া ক্লিনিকে ভর্তি করেছে।
ঘটনার ব্যাপারে নিহত তপনের বড় ভাই কৃষ্ণ কর্মকার বলেন, “দুর্বৃত্তরা চলে যাবার পর আমাদের ডাক-চিৎকারের শব্দ পেয়ে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন। তারা গুরুতর আহত অবস্থায় আমার ছোট ভাই তপনকে উদ্ধার করে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ঢাকায় প্রেরণ করেণ। পরে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
মঙ্গলবার রাতেই দোহার থানা পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, দোহার সার্কেল এএসপি জহিরুল ইসলাম, দোহার থানার (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন, ওসি (তদন্ত) আরাফাত হোসেন। তবে এখনো পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেপ্তার হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
আমি বাকরুদ্ধ, কি ভাষায় এই লোমহর্ষক ঘটনার নিন্দা জানাবো বুঝতে পারছিনা!! যতো দ্রুত সম্ভব এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে সকল আসামীকে গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের মাধ্যমে ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি
নিলয় চক্রবর্তীর টাইমলাইন থেকে নেয়া – ১৬ই জুলাই ২০২০ ইং
Tags: হিন্দু স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করে তার বৌদিকে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা, অপরাদ