বাংলাদেশ থেকে হিন্দুদের অস্তিত্ব মুছে ফেলার পরিকল্পনা চলছে: মার্কিন সংস্থা
বাংলাদেশে হিন্দুদের পরিস্থিতি দিনদিন করুন হচ্ছে। ১৯৪৭ সালে বাংলাদেশে এক তৃতীয়াংশ হিন্দু ছিল। কিন্তু ২০১৬ আসতে আসতে দেশের মোট জনসংখ্যায় তাঁরা ৩৩ শতাংশ থেকে কমে ৭ শতাংশে চলে আসে। আমেরিকার মানবাধিকার কর্মী আর প্রফেসর রিচার্ড বেনিন একটি ভাষণে এই কথা গুলো তুলে ধরেন।
রিচার্ড বলেন, ‘ বাংলাদেশে সুপরিকল্পিত ভাবে হিন্দুদের দমন করা হচ্ছে, খালেদা জিয়া হোক আর শেখ হাসিনা কেও হিন্দুদের জন্য ভেবে কোনো পদক্ষেপ নেননি। হিন্দুদের পুরো শেষ করার জন্য তাঁদের বাচ্চা এবং মহিলাদের টার্গেট করা হচ্ছে। প্রায়ই তাঁদের নিখোঁজ হওয়ার মামলা সামনে আসে”
রিচার্ড বলেন, এর থেকে সমাধান পেতে বাংলাদেশি হিন্দুদেরই সামনে আসতে হবে। আইনি ভাবে তাঁরা নিজেদের জন্য একটি সুরক্ষা বাহিনী তৈরি করুক। বাংলাদেশে অনেক হিন্দু সংগঠনই আছে, কিন্তু বাংলাদেশ মাইনরিটি মোর্চা ছাড়া হিন্দুদের জন্য কেউ সেরকম কিছু করছে না। বেনিন জানায়, উনি বাংলাদেশি হিন্দুদের সমস্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে দেখা করেছিলেন, এবং ওনাকে বাংলাদেশি হিন্দুদের ওপর হওয়া অত্যাচার সমন্ধ্যে অবগত করান।
দ্যা হিন্দু আমেরিকা ফাউন্ডেশন দক্ষিণ এশিয়ায় হিন্দু আর প্রবাসি দের নিয়ে নিজেদের বার্ষিকী রিপোর্টে বলেছিল, পুরো দক্ষিণ এশিয়া আর দুনিয়ার অন্যত্র থাকা হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর বিভিন্ন সম্প্রদায় দ্বারা ধার্মিক স্বাধীনতায় বাঁধা দেওয়া, সামাজিক অত্যাচার এর সাথে আর্থিক আর রাজনৈতিক দিক দিয়ে দুর্বল করে দেওয়া হচ্ছে।
সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশ আর পাকিস্তান যেখানে হিন্দুরা সংখ্যালঘু, সেখানে তাঁদের ওপর অত্যাচার সামাজিক কাজে বাঁধা এবং আরও বিভিন্ন সমস্যার সন্মুখিন হতে হয়। ওই দেশ গুলিতে সবথেকে বেশি হিন্দু মহিলারা অত্যাচারের শিকার হন। বাংলাদেশ আর পাকিস্তানে হিন্দু মহিলাদের স্থিতি সবথেকে খারাপ। সেখানে মহিলাদের অপহরণ করা এবং জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করা রোজকার ব্যাপার।