প্রেমের ফাঁদে ফেলে হিন্দু মেয়েকে বিয়ে, গোপন রেখে ফের বিয়ে করল মুসলিম যুবক

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এক হিন্দু মেয়েকে ধর্মান্তরিত করার পর বিয়ে করে প্রতারণা ও নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে ভোক্তভোগী সবিতা বেগম বাদি হয়ে ময়মনসিংহ জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেছেন

জানা যায়, ঢাকার একটি গার্মেন্টস কোম্পানিতে চাকুরীর সুবাদে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের আমোদপুর গ্রামের হেকমত আলীর ছেলে শহীদুল ইসলামের সাথে পাবনা জেলার আটঘরিয়া থানার নাদুরীয়া গ্রামের শ্রীরাম দাস এর মেয়ে সবিতা রাণীর সাথে পরিচয় ঘটে ও পরবর্তীতে প্রেমে জড়িয়ে পরে। তাদের দীর্ঘ দুই বছর প্রেমের সম্পর্ক বিয়েতে রূপ নেয়। সবিতা রাণী ১০ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে ধর্মান্তিরিত হয়ে সবিতা বেগম পরিচয়ে ২৮ জুন ২০১৪ সালে এফিডেভিট করে শহীদুল ইসলামের সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এফিডেভিটে ১২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার কাবিনের কথা উল্লেখ থাকলেও পরবর্তীতে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে কাজি অফিসে আরেকটি রেজিষ্ট্রি করে যাতে সবিতার পিতার নাম শ্রীরাম দাসের পরিবর্তে শাহজাহান ও ভূয়া ঠিকানা উল্লেখ করে ৪০ হাজার টাকার কাবিন উল্লেখ করা হয়।

সবিতা বিষয়টি জানার পর বিয়ে বিচ্ছেদের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বিধায় নিরবে সব সহ্য করে। এভাবেই দীর্ঘ পাঁচ বছর ঢাকায় বিভিন্ন ভাড়াটে বাসায় চলে সংসার জীবন। এক পর্যায়ে সবিতাকে শহীদুল ইসলাম জানায় তার কিছু টাকা হলে সে বাড়িতে একটি ঘর করে সবিতাকে বাড়িতে নিয়ে যাবে। সবিতা তাকে বিশ্বাস করে জীবনের সঞ্চিত ৯ লাখ টাকা স্বামী শহীদুল ইসলামের হাতে তুলে দেয়। শহীদুল সেই টাকা দিয়ে বাড়িতে একটি ঘর ও কিছু জমি ক্রয় করে। কিছুদিন পর শহিদুল ইসলাম সবিতার কাছে সব কিছু গোপন রেখে আরেকটি বিয়ে করে। সবিতাকে ঢাকায় একটি ভাড়াটে বাসায় ফেলে রেখে বাড়িতে চলে আসে। সবিতার সাথে সবধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

সবিতার সাথে প্রতারণা করা হয়েছে বুঝাতে পারলে সে শহীদুল ইসলামের ঠিকানা সংগ্রহ করে। গত মার্চ মাসে সবিতা শহীদুলের বাড়িতে এসে উঠে।গত ২৪ এপ্রিল শহীদুল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজন সবিতাকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়মারাত্মক আহত অবস্থায় সবিতাকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে ময়মনসিংহ হাসপাতালে প্রেরণ করে।সবিতা ২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে চিকিৎসা নেন।

বিষয়টি নিয়ে সবিতার সাথে কথা বললে, তিনি জানান, ধর্মান্তরিত হওয়ার ফলে মৃত্যু ছাড়া তার আর কোথাও যাওয়ার মতো জায়গা নেই তার।