নাজিরপুরে তিনটি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর, আটক ১

২টি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙার পর আরেকটি মন্দিরে ভাঙচুর করার সময় হাতেনাতে তাকে আটক করে স্থানীয়রা

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার কলারদোয়ানিয়া গ্রামে ৩টি মন্দিরে ঢুকে কালী প্রতিমা ভাঙচুর করার সময় স্থানীয়রা হাতেনাতে একজনকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে। আটক যুবক কামরুল ইসলাম সুজন (৩০) স্বরুপকাঠী উপজেলার রাজাবাড়ী গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে।

রবিবার (২০ অক্টোবর) ভোর পৌনে ছয়টা থেকে সাড়ে ছয়টার মধ্যে উপজেলার দীর্ঘা ইউনিয়নের কলারদোয়ানিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন নাজিরপুর থানার   ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুনিরুল ইসলাম।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রথমে কামরুল কলারদোয়ানিয়া বাজার সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরের তালা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে প্রতিমা ভাঙচুর করেন। পরে কলারদোয়ানিয়া বাজার সংলগ্ন অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক অধির রঞ্জন মল্লিকের বাড়ীর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরে ঢুকে প্রতিমা ভাঙচুর করেন।

ওই বাড়ির বাসিন্দা গৌরী মল্লিক জানান, তিনি ভোর বেলা মন্দিরের দরজার তালা খুলে রেখে ফুল তুলতে যান। ফিরে এসে দেখেন পাঞ্জাবী পরা, মাথায় টুপি, মুখে দাড়িওয়ালা এক লোক বাড়ি থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন। প্রথমে তিনি কিছু বুঝতে পারেননি। পরে মন্দিরে ঢুকে দেখেন মন্দিরের সব প্রতিমা ভেঙে রেখে গেছেন ওই ব্যক্তি। এরপর খুঁজেও তাকে আর পাওয়া যায়নি।

পরে আরেকটি মন্দিরে ভাঙচুর চালানোর সময় হাতেনাতে তাকে আটক করেন স্থানীয়রা। ওই গ্রামের উজ্জল মল্লিক জানান, তার কাকীমা সবিতা মল্লিকের চিৎকার শুনে তিনি ও কয়েকজন এসে মন্দিরের ভিতরে প্রতিমা ভাঙচুর করার সময় ওই লোকটিকে আটক করেন।

নাজিরপুর থানার  ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুনিরুল ইসলাম মুনির জানান, “আটক কামরুল ইসলাম সুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

পিরোজপুরের পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “ঘটনাটি শোনার পর আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আটক যুবকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Source: ঢাকা ট্রিবিউন