দেলোয়ার হোসেনের ক্ষেতের ধইঞ্চা গাছ গরু খেয়ে ফেলায় নারায়ণ চন্দ্র দে’র বসতঘর ভস্মীভূত
প্রতিবেশী রুহুল আমিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেনের ক্ষেতের ধইঞ্চা গাছ নারায়ণ চন্দ্র দে’র গৃহপালিত গরু খেয়ে ফেলে, এর জের ধরে দেলোয়ার নারায়ণ চন্দ্র দে কে মারধর করে। পরে দেলোয়ারসহ তার ভাতিজা সৈয়দ আলীর ছেলে জহর আলী, ফারুক, সুমন, শাহাদাত, রুহুল আমিনের ছেলে সুফিয়ান ও মনির এক জোট হয়ে নারায়ণ চন্দ্র দে এবং উনার পরিবারের লোকজনের ওপর হামলা এবং মারধর করে। এ ঘটনার সময়ে দেলোয়ার নারায়ণ চন্দ্র দে এবং তাঁর পরিবারের লোকজনকে ক্ষতি করবে এবং তাঁরা ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে তাকে এলাকা ছাড়া করবে হুমকি দিয়ে চলে যায়।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ১০ই আগষ্ট চাঁদপুরে মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের কাশিমপুর গ্রামে। এর ঠিক ৫ দিনের মধ্যে গত ১৫ আগস্ট রাতের আঁধারে নারায়ণ চন্দ্র দে’র দুটি ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এসময় বাড়িতে অবস্থানকারী উনার জেঠাতো ভাই রনজিত দে মাছ চাষ করার পুকুর দেখতে ঘুম থেকে উঠলে তিনি আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পেয়ে ডাক চিৎকার দিলে আশ-পাশের লোকজন দৌড়ে এসে আগুন নেভাতে সাহায্য করে। এতে নারায়ণ বাবুর পাকা বসতঘর রক্ষা পেলেও পাশের দুটি ঘর আগুনে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয় যেখানে ধান, আলু, ভুট্টা, লাকড়ী, পাট ইত্যাদি ছিল।
ঘটনার পর থেকে আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ায় ভয় আর আতঙ্কে দিন কাটছে নারায়ণ চন্দ্র দে ও তার পরিবারের। গৃহপালিত পশু ক্ষেতের ধইঞ্চা খেয়ে ফেললেও এদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারকে মারধর করা যায়, বসতবাড়িতে আগুন লাগানোর হুমকি দেওয়া যায়, আবার নির্বিঘ্নে কয়েকদিন পর সেই বসতবাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়েও দেওয়া যায়! কারণ, সংখ্যালঘু নির্যাতনের ক্ষেত্রে এদেশে বিচারের বানী সবসময় নিভৃতে কাঁদে। তবুও রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের মাঝে মাঝে বলতে শুনি বাংলাদেশে হিন্দুরা খুব ভালো আছে, সুখে আছে! কি বিচিত্র!!
নিলয় চক্রবর্তী দাদার টাইমলাইন থেকে নেয়া। ১৮ই আগষ্ট ২০২০ ইং