তুচ্ছ ঘটনায় হিন্দু যুবককে ‘পিটিয়ে হত্যা’ করল মুসলিম যুবক
মঙ্গলবার কালীগঞ্জ পৌর এলাকার মূলগাঁও (বর্মনপাড়া) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত প্রহলাদ চন্দ্র বর্মন (৫৫) মূলগাঁও (বর্মনপাড়া) গ্রামের মৃত মদন চন্দ্র বর্মনের ছেলে।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে গোবিন্দ চন্দ্র বর্মন বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে কালীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।
পুলিশ এক আসামি শুক্কুর আলীকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে। বুধবার আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার শুক্কুর একই উপজেলার বাঘেরপাড়া গ্রামের মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে। তিনি এলাকায় রিকশা চালান।
হত্যাকারীর বিচারের দাবিতে বুধবার বিক্ষোভ করেছে এরাকাবাসী।কালীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজীব চক্রবর্তী বলেন, প্রহলাদ চন্দ্র বর্মন পার্শ্ববর্তী নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল বাজারে মাছের ব্যবসা করতেন। মামলার বাদী গোবিন্দ জানান, মঙ্গলবার বিকালে জাকের পার্টির গান বাজিয়ে রিকশা চালিয়ে আসছিলেন শুক্কুর। এ সময় মূলগাঁও (বর্মনপাড়া) এলাকায় এলে গোবিন্দ্র তাকে হাসির ছলে ফরিদপুরী বলে ডাকেন। এতে শুক্কুর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তাকে মারধর শুরু করেন।
খবর পেয়ে গোবিন্দের বাবা ও পরিবারের লোকজন এসে মীমাংসা করে দেয়। পরে শুক্কুর তার ভগ্নিপতি সেলিম মিয়া (৪৫) ও ভাগনে ফয়সালকে (১৯) নিয়ে আবার গোবিন্দর বাড়ি যান বলে গোবিন্দ জানান। বাড়িতে গোবিন্দকে না পেয়ে ওরা তিনজন মিলে তার বাবা, মা ও বোনকে মারধর করেন জানিয়ে গোবিন্দ বলেন, “এক পর্যায়ে বাবা মাটিতে ঢলে পড়েন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।”
কালীগঞ্জ থানার ওসি আবু বকর মিয়া বলেন, ওই মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিরা পলাতক থাকলেও তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।