জামালপুরে নারীকে গাছে বেঁধে জমি দখল
জামালপুর সদর উপজেলার জুকারপাড়া গ্রামে
প্রতিভা দেবনাথ নামে এক হিন্দু নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে জমি দখলের
ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবারের এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হলেও সব আসামি
জামিনে বের হয়ে এসেছে। এখন মামলা তুলে নিতে সংখ্যালঘু পরিবারটিকে হুমকি
দিচ্ছে আসামিরা।
নির্যাতিত
প্রতিভা দেবনাথের ছেলে সুমন দেবনাথ মঙ্গলবার সমকালকে বলেন, পৈতৃক সূত্রে
তারা ওই গ্রামে ১৬ শতাংশ জমি পেয়েছেন। তাদের জমির পাশে তার চাচা মদন মহন
দেবনাথেরও ১৬ শতাংশ জমি ছিল। চাচার অংশ ২০০৭ সালে স্থানীয় সুলতান মাহমুদের
স্ত্রী রেখা বেগম কিনে নেন। জমিটি বেচা-কেনা নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল।
এ বিষয়ে আদালতে মামলাও চলছে।
তিনি
বলেন, গত বৃহস্পতিবার সকালে সুলতান মাহমুদ লোকজন নিয়ে জমিটি দখল করতে যান।
খবর পেয়ে তার মা প্রতিভা দেবনাথ ও ভাগ্নি স্কুল শিক্ষিকা সুবর্ণ দেবনাথ
তাদের বাধা দিতে যান। ওই সময় সুলতান মাহমুদ তাদের মারধর করেন। এক পর্যায়ে
ভাগ্নির ওড়না কেড়ে নিয়ে তার মাকে একটি সুপারিগাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন। তিন
ঘণ্টা পর স্থানীয় লোকজন তার মাকে উদ্ধার করে। এ সময়ের মধ্যে সুলতান মাহমুদ
ওই জমিতে পানের বরজ তৈরি করেন।
সুমন
আরও জানান, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তিনি জামালপুর সদর থানায় অভিযোগ করতে যান।
থানা থেকে তাকে নারায়ণপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ করার পরামর্শ দেওয়া
হয়। ওই রাতেই তিনি তদন্ত কেন্দ্রে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরের দিন
শুক্রবার পুলিশ গিয়ে জমির সব স্থাপনা সরিয়ে দেয়। শুক্রবার রাতেই সদর থানায়
সুলতান মাহমুদকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের নামে মামলা হয়। পুলিশ ওই রাতেই
নজরুল ইসলাম নামের এক আসামিকে গ্রেফতার করে।
সুমন
দেবনাথ অভিযোগ করেন, একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও রোববার নজরুল ইসলামসহ
মামলার সব আসামি আদালতে জামিন নেন। জামিনে মুক্ত হওয়ার পর থেকেই তারা মামলা
তুলে নিতে বাদী ও সাক্ষীদের প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছেন।
জামালপুর থানার ওসি মো. সালেমুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে। জামিনের বিষয়টি সম্পূর্ণ আদালতের এখতিয়ার। সেখানে পুলিশের কিছু করার নেই।
Source/ Credit: সমকাল