লাভ জেহাদে’র নিশানায় হিন্দু যুবতীরা, ফাঁস ভয়ানক তথ্য

ফেসবুকে একটি ‘হাই’ বা হোয়াটসঅ্যাপে ‘হ্যালো’। সাধারণ দৃষ্টিতে খুবই নিরীহ এই মেসেজ। কিন্তু এর নেপথ্যে লুকিয়ে রয়েছে এমন এক ষড়যন্ত্র যা জানলে ভয়ে শিউরে উঠতে হয়। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমে ‘বন্ধুত্বের’ ফাঁদ পেতে রেখেছে ‘লাভ জেহাদি’রা। তাদের নিশানায় রয়েছে ১৮ থেকে ২৮ বছরের হিন্দু যুবতীরা। একবার ওই ফাঁদে পা দিলে আর রক্ষা নেই। বেরিয়ে আসার সব পথ বন্ধ হয়ে যাবে। বাধ্য হয়ে গ্রহণ করতে হবে ইসলাম। শুধু তাই নয় ইসলামিক স্টেটের যৌনদাসী হয়ে পাচার হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।

‘ইশ্বরের আপন দেশ’ কেরলে চলছে ভয়াবহ ষড়যন্ত্র। সূত্রের খবর, সনাতন ধর্মকে শেষ করে দেওয়াই জেহাদিদের উদ্দেশ্য। সম্প্রতি, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনআইএ) ও কেরল পুলিশ একটি রিপোর্ট পেশ করে। ওই রিপোর্টে ফাঁস হয়েছে জেহাদিদের চক্রান্ত। কী সেই চক্রান্ত? কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, ভালবাসার টোপ দিয়ে হিন্দু যুবতীদের ফাঁদে ফেলছে জেহাদিরা। তারপর বিয়ে করে তাঁদের ইসলাম গ্রহণ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। এভাবে কেরলের জনবিন্যাসে পরিবর্তন ঘটিয়ে অন্যান্য ধর্মকে বিলুপ্তির পথে ঠেলে দিতে চায় জেহাদিরা। এক সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলের রিপোর্ট মোতাবেক, এনআইএ ও কেরল পুলিশ জানিয়েছে যে রাজ্যে সক্রিয় রয়েছে বিশেষ ‘দাওয়া স্কোয়াড’। এই স্কোয়াডগুলির সদস্য যুবকরা হিন্দু মেয়েদের প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে নেয়। তারপর তাঁদের ইসলাম গ্রহণ করতে বাধ্য করে। শুধু তাই নয়, বিয়ের পর ওই যুবতীদের ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসের যৌনদাসী হিসেবে পাচার করে দেওয়া হয়। এপর্যন্ত এমন ১০৫টি ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।

কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, কেরলে সক্রিয় রয়েছে ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’ নামে এক ইসলামিক মৌলবাদী সংগঠন। লাভ জেহাদের নেপথ্যে রয়েছে ওই সংগঠন। গোয়েন্দারা আরও জানিয়েছেন, সায়নাবা নামের এক মহিলা জেহাদি দলটির চাঁই। ১৮ থেকে ২৮ বছরের হিন্দু যুবতীদের মগজধোলাই করে ইসলাম গ্রহণ করতে বাধ্য করছে ওই মহিলা। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে চলতি মাসের ১৮ তারিখ কেরলে ‘লাভ জেহাদ’ সংক্রান্ত একটি মামলায় তদন্ত শুরু করে এনআইএ। এর আগে একটি মামলায় কেরল হাই কোর্ট এক হিন্দু মহিলাকে বলপূর্বক বিবাহের অভিযোগে তাঁর পিতার কাছে ফিরে যেতে নির্দেশ দেয়। সে সময় আদালত ওই মামলাকে লাভ জেহাদের তকমা দেয়।

ক্রমাগত লাভ জেহাদের ঘটনা সামনে এলেও বিষয়টি নিয়ে মৌনব্রত অবলম্বন করেছে কেরলের পিনারাই বিজয়নের ‘এলডিএফ’ সরকার। এমনকী লাভ জেহাদের মামলায় হাই কোর্টের হস্তক্ষেপের পরও পদক্ষেপ নিতে রাজি নয় রাজ্য সরকার। অভিযোগ, সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক বজায় রাখতেই এই নীতি গ্রহণ করেছে এলডিএফ।

Source / Credit: sangbadpratidin