ধর্ম কি? সনাতন ধর্মের লক্ষণ কি?
ধর্মঃ-
ধারণাদ্ ধর্ম ইত্যাহুধর্মেণ বিধৃতাঃ প্রজাঃ।
যঃ স্যাদ্ ধারণসংযুক্তঃ স ধর্ম ইতি নেতরঃ ॥
অর্থাত্, ধারণ ক্রিয়া (ধৃ+মন্) থেকে ধর্ম শব্দের উত্পত্তি। ধর্ম সৃষ্টিকে বিশেষভাবে ধারণ করে রয়েছে। সংক্ষেপে, যা কিছু ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন, তাই ধর্ম, এছাড়া অন্য কিছু ধর্ম নয়।
সনাতন ধর্মের লক্ষণঃ মনুসংহিতা অনুসারে নিম্নক্তো চারটিকে বলা হয় মূলত সনাতন ধর্মের লক্ষণ।
ধারণাদ্ ধর্ম ইত্যাহুধর্মেণ বিধৃতাঃ প্রজাঃ।
যঃ স্যাদ্ ধারণসংযুক্তঃ স ধর্ম ইতি নেতরঃ ॥
অর্থাত্, ধারণ ক্রিয়া (ধৃ+মন্) থেকে ধর্ম শব্দের উত্পত্তি। ধর্ম সৃষ্টিকে বিশেষভাবে ধারণ করে রয়েছে। সংক্ষেপে, যা কিছু ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন, তাই ধর্ম, এছাড়া অন্য কিছু ধর্ম নয়।
সনাতন ধর্মের লক্ষণঃ মনুসংহিতা অনুসারে নিম্নক্তো চারটিকে বলা হয় মূলত সনাতন ধর্মের লক্ষণ।
ক) বেদঃ- বেদ সনাতন ধর্মের মূল গ্রন্থ। বেদের ব্যাখ্যা হচ্ছে আরণ্যক ও উপনিষদ। শ্রীশ্রী গীতা হচ্ছে সমস্ত উপনিষদের সারবস্তু। সুতরাং বেদ বা গীতা বা উপনিষদে বিশ্বাস একজন সনাতন ধর্মাবলম্বীর প্রধান লক্ষণ।
খ) স্মৃতিঃ- বিভিন্ন স্মৃতি শাস্ত্রের অনুশাসন মানা যেমনঃ মনুসংহিতা, পুরাণসমুহ প্রভৃতি।
গ) সদাচারঃ- মহাপুরুষদের সদাচার থেকে শিক্ষা নেয়া। যেমন, রামায়নের রামচন্দ্র, মহাভারতের শ্রীকৃষ্ণ প্রমুখ।
ঘ) বিবেকের বাণীঃ- যেমন শরণাগত ব্যক্তির জীবন বাঁচাতে প্রয়োজনে মিথ্যা বলা।
খ) স্মৃতিঃ- বিভিন্ন স্মৃতি শাস্ত্রের অনুশাসন মানা যেমনঃ মনুসংহিতা, পুরাণসমুহ প্রভৃতি।
গ) সদাচারঃ- মহাপুরুষদের সদাচার থেকে শিক্ষা নেয়া। যেমন, রামায়নের রামচন্দ্র, মহাভারতের শ্রীকৃষ্ণ প্রমুখ।
ঘ) বিবেকের বাণীঃ- যেমন শরণাগত ব্যক্তির জীবন বাঁচাতে প্রয়োজনে মিথ্যা বলা।
*সনাতন ধর্মের বাহ্য লক্ষণঃ-
ধৃতিঃ ক্ষমা দমোহস্তেয়ং
শৌচমিন্দ্রিয়-নিগ্রহঃ।
ধীর্বিদ্যা সত্যমক্রোধো
দশকং ধর্মলক্ষণম্॥
(মনুসংহিতা)
অর্থাত্… সহিষ্ণুতা, ক্ষমা, চুরি না করা, শুচিতা, ইন্দ্রিয়সংযম, শুদ্ধ বুদ্ধি, জ্ঞান, সত্য এবং ক্রোধহীনতা- এইটি দশটি লক্ষণের মধ্যে সনাতন ধর্মের স্বরূপ প্রকাশ পায়।
ধৃতিঃ ক্ষমা দমোহস্তেয়ং
শৌচমিন্দ্রিয়-নিগ্রহঃ।
ধীর্বিদ্যা সত্যমক্রোধো
দশকং ধর্মলক্ষণম্॥
(মনুসংহিতা)
অর্থাত্… সহিষ্ণুতা, ক্ষমা, চুরি না করা, শুচিতা, ইন্দ্রিয়সংযম, শুদ্ধ বুদ্ধি, জ্ঞান, সত্য এবং ক্রোধহীনতা- এইটি দশটি লক্ষণের মধ্যে সনাতন ধর্মের স্বরূপ প্রকাশ পায়।
*সনাতন ধর্মের বিশেষ লক্ষণ:
বৈষয়িক দর্শনে বলা হয়েছে- যতোহভ্যুদয়-নিঃশ্রেয়সিদ্ধি সঃ ধর্মঃ॥
অনুবাদঃ যা থেকে জাগতিক কল্যাণ ও মোক্ষলাভ হয়-সেটিই ধর্ম।
*যারা সনাতন ধর্ম না জেনে ধর্ম ত্যাগী হচ্ছে তাদের প্রতি সুস্পষ্ট নির্দেশ- ধর্ম এব হতো হন্তি,ধর্ম রক্ষতি রক্ষিতঃ। (ধর্ম নষ্ট হলে সে ধর্মনষ্টকারীকে নাশ করে; আর রক্ষিত হলে তাকে রক্ষা করে)
সুতরাং সনাতন ধর্ম মানেই তো মানবতা ধর্ম; এরপরও যারা সনাতন ধর্মাবলম্বী হওয়া সত্ত্বেও নিজেকে পরিচয় দিতে লজ্জা বোধ করে তাদের নিজেদের মহিমান্বিত ধর্ম বিষয়ে কোন জ্ঞান নেই এ কথা অকপটে বলা যায়..
বৈষয়িক দর্শনে বলা হয়েছে- যতোহভ্যুদয়-নিঃশ্রেয়সিদ্ধি সঃ ধর্মঃ॥
অনুবাদঃ যা থেকে জাগতিক কল্যাণ ও মোক্ষলাভ হয়-সেটিই ধর্ম।
*যারা সনাতন ধর্ম না জেনে ধর্ম ত্যাগী হচ্ছে তাদের প্রতি সুস্পষ্ট নির্দেশ- ধর্ম এব হতো হন্তি,ধর্ম রক্ষতি রক্ষিতঃ। (ধর্ম নষ্ট হলে সে ধর্মনষ্টকারীকে নাশ করে; আর রক্ষিত হলে তাকে রক্ষা করে)
সুতরাং সনাতন ধর্ম মানেই তো মানবতা ধর্ম; এরপরও যারা সনাতন ধর্মাবলম্বী হওয়া সত্ত্বেও নিজেকে পরিচয় দিতে লজ্জা বোধ করে তাদের নিজেদের মহিমান্বিত ধর্ম বিষয়ে কোন জ্ঞান নেই এ কথা অকপটে বলা যায়..