অনু-পরমাণু বিজ্ঞানের জনক ‘ঋষি কণাদ’
ডেস্কঃ শ্রীকৃষ্ণ (দ্বারকা), মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী, মহাত্মা গান্ধী,সর্দার বল্লবভাই প্যাটেল ও নরেন্দ্র মোদীর মত বীর, রথি-মহারথী জন্ম গ্রহন করেছেন গুজরাটে।
তার থেকেও প্রায় ২৫০০ বছর আগে জন্ম নিয়েছিলেন এক ঋষি। তাঁর নাম কণাদ। ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায় অনু-পরমাণু বিজ্ঞানের জনক মুলত তিনিই। আমরা যে কণা নামে চিনি পদার্থের ক্ষুদ্রতম অংশকে তা তাঁর নাম থেকেই চিনি, তিনি হলেন বৈশেষিক দর্শনের জনক ঋষি কণাদ।
প্রাচীন গ্রীসে যখন দর্শনের ফুলঝুরি ঝড়াচ্ছিলেন এরিস্টটল সেই সময়ে
প্রাচ্যে তার স্নিগ্ধ বাতাস বইয়ে দিচ্ছিলেন জগতবিখ্যাত এই ঋষি। সর্বপ্রথম
আলাদাভাবে অভিকর্ষ শক্তি(গুরুত্ব,Gravity) এর কথা বলার জন্য তিনি অমর হয়ে আছেন। পদার্থের গঠন নিয়ে তাঁর আবিষ্কার ও অবদানের কথা সবাই জানেন।
কণাদ-
“সংযোগাভাবে গুরুত্বাত্ পতনম্”
বাইরের কোন শক্তির প্রভাব ব্যাতিত একটি বস্তুর পতন হতেই থাকবে।
(বৈশেষিক সূত্র,অধ্যায় ৫,আহ্নিক ১,শ্লোক ৭)
নিউটনের প্রথম সূত্র: বাইরে থেকে কোন বল প্রয়োগ না করলে স্থির বস্তু স্থির এবং গতিশীল বস্তু সুষম গতিতে চলতেই থাকে।
কণাদ-
“নোদনবিশেষাভাবাত্নো উর্ধ্বং ন ত্রিয়েজ্ঞমনম্”
(শ্লোক ৮)
বাইরে থেকে বিশেষ শক্তি(নোদন বিশেষ) না থাকলে বস্তু উপরে,নিচে বা কোন পাশে(তিনদিকের কোন দিকেই) যেতে পারেনা।
নিউটনের দ্বিতীয় সূত্র: কোন বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের হার প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক এবং
“বল যে দিকে ক্রিয়া করে বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তন সেদিকেই ঘটে।” অর্থাৎ বলের প্রভাবেই বস্তু নির্দিষ্ট দিকে গতিশীল হয়।
কণাদ-
“প্রযত্ন বিশেষত্নোদন বিশেষঃ”
(শ্লোক ৯)
বিশেষ বলে কাজ হলে(প্রযত্ন বিশেষ) তার বিপরীত কাজও(নোদন বিশেষ) ঘটিত হইবে।
নিউটনের তৃতীয় সূত্র: প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া রয়েছে৷
আর্যভারত শুরু করেছিল হাজার হাজার বছর আগে,আজ জ্ঞানের সে মশাল এগিয়ে নিয়ে চলেছে ইউরোপ ও আমেরিকার সৈনিকরা। আর আর্য ভারত আজ শ্রীরাম ও শ্রীকৃষ্ণের মত তার বীর সন্তানদের নামে আজগুবি বানানো গল্প ফেঁদে ভক্তির ব্যবসা করে খাচ্ছে,বিজ্ঞান আজ চলে গেছে পেছনে। প্রাচীন গৌরব স্মরণ করে সামনে এগিয়ে চলুন বেদ এর পথ ধরে।
তথ্য- অগ্নিবীর ও wikipedia