উত্তরপ্রদেশে ‘হিন্দু’ হলেন মুসলিম পরিবারের ১৩ সদস্য

প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে ধর্ম বদল করে ফেলল উত্তরপ্রদেশের বাগপতের এক মুসলিম পরিবারের ১৩ সদস্য। মঙ্গলবার (02/10/2018) স্থানীয় এক মন্দিরে গিয়ে তাঁরা ধর্মান্তরিত হন। পরিবারের প্রধান আখতার আলির(৬৮)বর্তমান নাম এখন ধরম সিং।

আরও পড়ুন-সৌদিতে হিন্দু যুবককে জোর করে খাওয়ানো হলো গরুর মাংস

কয়েক মাস আগে খুন হয়েছিলেন আখতার আলির ২৮ বছরের ছেলে। তার পর থেকে ছেলের মৃত্যুর ন্যায় বিচার চেয়ে দরজায় দরজায় ঘুরেছেন আখতার। পুলিস কোনও সহযোগিতা করেনি। প্রতিবশীরা পাশে দাঁড়ায়নি। এতেই বগপতের ছাপরাউলির বাদারাখা গ্রামের আখতারের সব ক্ষোভ গিয়ে পড়ে পুলিস ও প্রতিবেশীদের উপরে। ধর্ম বদল করে আখতার ও তার পরিবার হলফনামা দিয়ে তা জানিয়ে দিয়েছেন সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছেও।

বাগপতের জেলাশাসক ঋষিরেন্দ্র কুমার সংবাদমাধ্যমে ওই ১৩ জনের হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করার কথা জানিয়েছেন। ঋষিরেন্দ্র সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ছেলের খুনের পর পুলিস ঠিকঠাক তদন্ত করেনি বলে অভিযোগ করেছেন আখতার।

আখতার আলি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, গত ২৮ জুলাই বাগপতের নেভেদা গ্রামে আমার ছেলেকে খুন করা হয়। গাছে এমনভাবে তার দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয় যেন মনে হয় ও আত্মহত্যা করেছে। পুলিস ও প্রতিবেশীর দরজায় ঘুরেছি। পুলিস কোনও তদন্তই করেনি। প্রতিবেশীরা সব জেনেও সাক্ষী দিতে চায়নি।

এদিকে, এই ঘটনা কোনও ধর্মান্তর নয় বলে দাবি করেছে হিন্দু যুব বাহিনী। বরং এই ঘটনাকে তারা ঘর ওয়াপসি বলে মনে করছে। সংগঠনের পক্ষে জেলা সভাপতি যোগেন্দ্র তোমার সংবাদম্ধ্যমে জানিয়েছেন, ৫-৬ প্রজন্ম আগে ওদের পূর্বপুরুষ হিন্দুই ছিল। এখন তারা ফিরে এসেছে।

Source: Zeenews