ইসলাম ত্যাগ করে স্ত্রী ও বাচ্চাদের নিয়ে সনাতন হিন্দু ধর্মে ফিরে এসে সেলিম হলেন সুশীল!

উত্তর প্রদেশ রাজ্য আইন কমিশন ( (UP state law commission) সম্প্রতি রাজ্যে ধর্মান্তরতা রোধে আইন করার পরামর্শ দিয়েছে। এত কিছুর মাঝে সামলির একটি মামলা খবরের শিরোনামে এসেছে। আসলে সামলি জেলায় এক ব্যাক্তি তার চার সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে ধর্ম ত্যাগ করে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছেন। বলা হচ্ছে যে এই যুবকের বাবা-মা তার ৮ বছর বয়সে মারা গেছেন। যার পরে সে তার এক সহকর্মী যুবকের সাথে বসবাস শুরু করেছিলেন। সেই সময় তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। সহকর্মীর সাথে বসবাস শুরু করার কিছু সময় পর তিনি হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলমান হয়েছিলেন।
এখন ওই ব্যাক্তি হিন্দু ধর্মে ফিরে এসেছেন। নিজের স্ত্রী ও বাচ্চা সহ সকলে মিলে সনাতন হিন্দু ধর্মে ফিরে এসেছেন। সেলিম তার নাম পরিবর্তন করে সুশীল রেখেছে। কিন্ত এতে জেহাদি কট্টরপন্থীরা আক্রোশ প্রকাশ করেছে। জেহাদিরা ওই ব্যাক্তিকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছে। সুশীল প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেছে তার পরিবারকে সুরক্ষা প্রদান করানোর জন্য। সুসীল তার সন্তানদের জন্য চিন্তা প্রকাশ করে সুরক্ষার আওয়াজ তুলেছে।

আসলে ঘটনাটি সদর কোতোয়ালি এলাকার সিটি সামলির। যেখানে ওই ব্যাক্তি সদর কোতয়ালী এলাকার সরোয়ারপীর কলোনীতে থাকেন। ব্যক্তির নাম সেলিম। যিনি তাঁর ধর্ম পরিবর্তন করেছেন তিনি এখন সেলিম থেকে সুশীল হয়ে তাঁর নাম পরিবর্তন করেছেন। সুশীলের বাবার নাম ছিল শ্যাম সিং। তাঁর মৃত্যুর পরে সুশীল সনাতন হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।

সুশীল বলেছেন, যখন তিনি ইসলাম কবুল করেছিলেন তখন তার বয়স ছিল মাত্র ৮ বছর। তখন ধর্ম সম্পর্কে তার জ্ঞান ছিল না। তবে এখন তিনি নিজের অতীত সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তাই আবার নিজ ধর্মে ফিরে এসেছেন। একইসাথে নিজের আরবি নাম পরিবর্তন করে ভারতীয় নাম রেখেছেন। কিন্তু সুশীলের প্ৰতিবেশী রাশিদ এখন হুমকি দিতে শুরু করেছে। ধর্ম পরিবর্তন করার ফল ভুগতে হবে বলে হুমকি দিয়েছে। ইসলাম ত্যাগ করায় রাশিদ প্রাণে মারার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে। পুলিশ রাশিদকে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
Source: indiarag