আদিনাথ মন্দির সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়মসহ অবৈধভাবে মাটি কেটে মন্দির হুমকির মুখে ফেলেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান

হিন্দু সম্প্রদায়ের পূণ্যস্থান আদিনাথ মন্দির সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়মসহ অবৈধভাবে মাটি কেটে মন্দির হুমকির মুখে ফেলেছে মোহাম্মদীয়া কনস্ট্রাকশন নামের এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। যার মালিক জুনায়েদ নামের এক ঠিকাদার।

তাছাড়া শুস্ক মৌসুমে সংস্কার কাজ বর্ষা মৌসুমে করায় কাজের নামে হরিলুট করা হচ্ছে।

অন্যদিকে কার্যাদেশ পাওয়া মূল ঠিকাদার মহেশখালীর স্থানীয় এক প্রভাবশালীর মাধ্যমে কাজ করায় তিনি মন্দির কমিটির কোন অভিযোগ শুনছেনা। তাই আদিনাথ মন্দির রক্ষায় প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।

মহেশখালী আদিনাথ মন্দির সংলগ্ন বেশ কয়েকজন সনাতন ধর্মালম্বী সুনিল চন্দ্র দে,দুলাল চন্দ্র দে রাজিব দে,চিত্তরঞ্জন দে সহ ২০/৫০ জন গণসাক্ষরতার একটি মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম পূর্ণস্থান আদিনাথ মন্দির পাহাড়ের চুড়ায় হওয়াতে বর্তমানে কিছুটা ঝুঁকির মধ্যে আছে। তাই বর্তমান সরকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে রিটার্নিং ওয়াল নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয় প্রায় ৭২ লাখ টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পের কার্যাদেশ পায় মোহাম্মদীয়া কনস্ট্রাকশন। যার মালিক কক্সবাজারের ঝাউতলার এলাকার জুনায়েদ নামের এক ঠিকাদার।

অভিযোগকারীদের দাবী, শুস্ক মৌসুমে পাহাড়ের নীচে মন্দির রক্ষায় রিটার্নিং ওয়ালের কাজ শেষ করার কথা থাকলে ঠিকাদার সেটা শুরু করেছে বর্ষা মৌসুমে।

আরো জানা গেছে, প্রকৃত ঠিকাদার আবার মহেশখালীর এক প্রভাবশালীকে উক্ত কাজ সমর্পণ করেছে। আর সেই দ্বিতীয় ঠিকাদার বর্ষা মৌসুমে হেভী স্কেলেটর নিয়ে মাটি কাটায় বর্তমানে মন্দির রক্ষার বদলে এখন মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। একই সাথে সেই মাটির কারণে মন্দিরের নীচে জোড়া পুকুর বাধ ভেঙ্গে যাচ্ছে। এতে মন্দিরের অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে।

এই বিষয়ে আদিনাথ মন্দির পরিচালনা কমিটি ঠিকাদারকে অভিযোগ দিলেও তিনি তাতে কর্ণপাত না করে মাটি কাটা অব্যহত রেখেছে। এছাড়া ৭২ লাখ টাকার কাজে বিপুল পরিমাণ অনিয়ম দূর্নীতি হচ্ছে যা ভাষায় প্রকাশ করার মত না।

তাই উক্ত অনিয়ম দূর্নীতি বন্ধ করে মন্দির রক্ষায় প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয় সনাতন ধর্মালম্বীরা।

বর্ষা মৌসুমে মন্দির রক্ষায় রিটার্নিং ওয়ালের কাজ করা মন্দিরের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তাই চলতি বর্ষা মৌসুমে রিটার্নিং ওয়ালের কাজ না করে শুস্ক মৌসুমে করার দাবি জানান আদিনাথ কমিটি ও অভিযোগকারীরা।

ত্রি শুল এর টাইমলাইন থেকে নেয়া।