আজহারীর মাহফিলে মুসলিম হওয়ার প্রতারণা, আটক ১১ জন
আজহারীর মাহফিলে মুসলিম হওয়ার প্রতারণা, আটক ১১ জন>>
ভারতীয় নাগরিত্ব গোপন রেখে বাংলাদেশে মুসলমান হিসেবে নিবন্ধন করে বসবাস করছিলেন কয়েকজন ভারতীয়। এরপরেও পুনরায় কালেমা পাঠ করিয়ে তাদের মুসলমান বানায় আজহারী সমর্থিত একটি মহল। বিষয়টি নিয়ে উপজেলাব্যাপী সকল ধ’র্মালম্বীদের মাঝে ক্ষো’ভ বিরাজ করছে।
রা’মগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর হাফেজ আয়াত উল্যার বাড়ি থেকে মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিলে হিন্দু পরিচয়ে কালেমা পাঠ করে ধ’র্মান্তর হওয়া এক পরিবারের ১১ জনকে আ’টক করা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে তাদের আ’টক করা হয়।
এ’লাকাবাসী জানান, মনির হোসেন মুসলমান ছিল। সে ছোটবেলায় ভারতে চলে যায়। গত কয়েক মাস আগে সে পরিবারের সবাইকে নিয়ে দেশে এসে মুসলমান হিসেবে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। তার দুই মেয়ে জান্নাত আক্তার ও আয়েশা আক্তার হরিশ্চর মাদ্রাসায় ৫ম শ্রেণিতে এবং ছেলে আব্দুল্লাহ নামে হরিশ্চর নুরানী মাদ্রাসায় অধ্যায়নরত। জা’মায়াতপন্থী একটি চ’ক্র তাদের লোভ দেখিয়ে শুক্রবার মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিলে নিয়ে পূনরায় কালেমা পড়িয়ে ধ’র্মান্তর করেন।
সূ’ত্রে জানা যায়, উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নারায়নপুর ডাক্তারবাড়ির মোসাম্মদ ফাতেমা বেগম ও আবদুল মজিদের ছেলে মনির হোসেন।
দু’ই সংসারে মিতালী, শ্যাফালী, রুপালী, কোয়েল, শ্যামলী, রাজা, সুমা, রাজেস নামে ৮ সন্তান রয়েছে। সম্প্রতি কয়েকমাস আগে সবাইকে নিয়ে বাংলাদেশে এসে নিজে মনির হোসেন নামে (১৯ অক্টোবর ২০১৯) রামগঞ্জ উপলোর ইছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জম্ম নিবন্ধন করেন তিনি। এবং ১১ ডিসেম্বর ২০১৯ সালে ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার শুভাঢ্যা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মুসলমান হিসেবে দুই স্ত্রী ও সন্তানদের জম্ম নিবন্ধন করেন।
এ’র আগে বড় মেয়ে শ্যাফালী বেগমকে উপজেলার চন্ডিপুরে তার বড় বোন পারভিন বেগমের ছেলে পারভেজ হোসেনের সাথে বিয়ে দেয়। সেখানে আবদুর রহমান নামে এক নাতি রয়েছে। মাহফিলে তাদেরসহ পরিবারের ১১ জনকে কালিমা পাঠ করিয়ে পূনরায় মুসলমান বানানো হয়। বিষয়টি নিয়ে উপজেলাব্যাপী মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে শনিবার রাতে তাদের আ’টক করা হয়।