চট্টগ্রামে, মন্দিরে গরুর হাড়গোড় ফেলাসহ বিভিন্ন মন্দির ভাঙচুর করায় প্রতিবাদ করে হিন্দু জনতা

গত ১ আগস্ট, ঈদের রাতে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় একটি সনাতনী মন্দিরে গরুর হাড় ও রক্ত ফেলে ধর্মীয় স্থাপনার পবিত্রতা নষ্টের ঘটনায় বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ ও মানব-বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যদিও সনাতন ধর্মে গরু পবিত্র কিন্তু সনাতন ধর্মে গো-হত্যাও নিষিদ্ধ । এমনকি গুরুসহ সকল প্রাণীকেই আঘাত না করার জন্যও বলা হয়েছে।

গেল সোমবার (৩ আগস্ট) সকাল ১১ টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে বিশ্ব সনাতন ঐক্যের ব্যানারে একটি মানব-বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ধর্মীয় অবমাননাসহ দেশব্যাপী হিন্দু নির্যাতন ও বিভিন্ন স্থানে মন্দির ভাঙ্গচুরের প্রতিবাদে এবং হিন্দুদের সুরক্ষার দাবিতে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সমাবেশ থেকে প্রশাসনকে ৭ দিনের সময় দেয়া হয়। ৭ দিনের মধ্যে যারা এ কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে জেলা পুলিশ সুপার ও সাতকানিয়া থানা ঘেরাও মতো আরো কঠিন কর্মসুচির ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আন্দোলনকারীরা ।

এছাড়া আন্দোলনে জাগো হিন্দু পরিষদ চট্টগ্রাম, কোজাগরী পুজা উদযাপন পরিষদ, হিন্দু পরিষদ, পুজা উদযাপন পরিষদ, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পরিষদ, শারদাঞ্জলি ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। কর্মসুচিতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা প্রেসক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস।

প্রসঙ্গত, গেল শনিবার চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলাস্থ দক্ষিণ ধর্মপুর মা মগদেশ্বরী মন্দিরে রাতের অন্ধকারে কে বা কারা গরুর হাড়গোড় ও উচ্ছিষ্ট ফেলে রেখে চলে যায়। শুধু তাই নয় মন্দিরের পবিত্রতা নষ্ট করতে মন্দিরের ঘটও ভেঙে দিয়ে যায়।

ঘটনার দিন সন্ধ্যায় বিষয়টি নজরে এলে স্থানীয়রা পুলিশকে জানিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন।

ওসি বলেন, রাস্তার পাশে একটি মন্দির, পাকা বেদি আছে। কিন্তু আশপাশে কোনো ঘেরাও নেই, একেবারে উন্মুক্ত। এলাকাটা খুবই নির্জন। সেখানে সন্ধ্যায় স্থানীয় হিন্দু লোকজন কয়েকটি গরুর হাড়, দাঁতের অংশবিশেষ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন। আমরা সাথে সাথেই এলাকায় যাই। ইতিমধ্যে ৩ দফা আমি সেখানে গিয়েছি, আমাদের সিনিয়র কর্মকর্তারাও গিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি আমরা।